বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির কারণে আমাদের প্রতিদিনের জীবন আরও সহজ হচ্ছে। এখন সফলভাবে চলতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞানে দক্ষ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই৷বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বের বহু দেশ আজ আকাশচুম্বী সাফল্য লাভ করেছে৷ অথচ উন্নয়ন ও উৎপাদনবিমুখ পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষা বা এ নিয়ে যে গবেষণার দরকার ছিল, তার সংস্কৃতি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি।বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা, অন্তরায় ও এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে করণীয় সম্পর্কে কথা বলেছেন জামালপুরে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুম্পা রায়।সমকাল: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের পিছিয়ে থাকার কারণগুলো কী?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: আমাদের সমস্যাটা একেবারে গোড়ায়। আমাদের দেশে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায় বহু বিভাগ খোলা হয়। কিন্তু সে তুলনায় লোকবল অনেক কম। বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে হলে প্রথমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে অনুপাত তা ঠিক নেই। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একেকটা বিভাগে ৬০-১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। চার-পাঁচটা সেশন মিলিয়ে দেখা যায় ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী। সেখানে তাদের জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ১০ জন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা মোটেও ভালো শিক্ষা পাচ্ছে না। শিক্ষার যে উপকরণ তাও পর্যাপ্ত নেই।
এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমিত বিভাগ খুলতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। ভালো শিক্ষক দিতে হবে। লোকবল পর্যাপ্ত দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উন্নত মানের প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।সমকাল: দেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায়গুলো কী কী?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিভাগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবরেটরি। তাদের ব্যবহারিক বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় উপকরণ অনেক কম। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে পারছি না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বরাদ্দও অনেক কম। এর জন্য তারা গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে পারছে না।আমি বলবো না আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা কম। তারা বাইরের দেশে অনেক ভালো করছে। আমাদের দেশে ভালো শিক্ষকের অভাবও রয়েছে। অনেক শিক্ষক আছেন যারা বড় শহরে থাকতে চান, প্রান্তিক পর্যায়ে যেতে চান না। এটা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় বলে আমি মনে করি।আরেকটি বড় সমস্যা হলো আমরা ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ তৈরি করছি। তাদের কোনো লক্ষ্য নেই। এক্ষেত্রে আমি বলবো আমাদের প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিৎ। বাইরের দেশে কারিগরি দিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। এই ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমগুলো যদি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার থেকে নেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার দিক থেকে আমরা এগিয়ে যাব। সরকারের নীতিমালাগুলো আরো কঠোর হওয়া উচিৎ।সমকাল: দেশে মেধাবীদের কাজের মূল্যায়নের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: এর জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একটা গবেষণা সেল তৈরি করতে হবে।
দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা হয়ে গেছে ক্লাসসর্বস্ব। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজ হয় প্রচুর। তারা গবেষণার ওপর জোর দেয় শুরু থেকেই। তাদের গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে, ভালো ল্যাবরেটরি আছে। সেখানে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণা করাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দেশে একজন শিক্ষার্থী স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে যাচ্ছে, কিন্তু তারা কোনো গবেষণা করছে না। কারণ তার গবেষণার কোনো উপকরণ নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো ফান্ড দিতে পারছি না। ফলে তারা কোনো গবেষণা কাজ ছাড়াই স্নাতকোত্তর করে চলে যাচ্ছে। কিন্তু বাইরের দেশে গবেষণা ছাড়া স্নাতকোত্তর অসম্ভব।সমকাল: কৃষি বা চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়া অন্য শাখাগুলোতে গবেষণার হার কম কেন?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: বিজ্ঞানের অন্য শাখাগুলোতে আসলে উন্নয়ন হচ্ছে না। অন্যান্য দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির একটা সম্পর্ক থাকে। যেমন-কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে কাজ করে। তারা নতুন মডেল তৈরি করে, নতুন কিছু আবিষ্কার করে। কোম্পানিকে তারা তাদের আবিষ্কারগুলো দেয়, কোম্পানি তাদের ফান্ডও দেয়। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে, সেইসঙ্গে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগও উপকৃত হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজে উৎসাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে পড়াশোনা শেষ করেই তারা কোম্পানিগুলোতে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। এই ক্ষেত্রগুলোকে বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিভাগ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, গবেষকের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে না।
সমকাল: বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনাগ্রহ বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উ'ত্তোরণের উপায় কী?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: এখন শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে চাচ্ছে না। তারা মাস্টার্সে থিসিস নিচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পরে তারা ছেড়ে দিচ্ছে। এর কারণ থিসিস শেষ করতে তাদের প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। এরপর তারা আর চাকরি পাচ্ছে না। এদিকে চাকরিতে যোগদানের বয়সও তখন তাদের শেষের দিকে। অন্যদিকে নন থিসিস গ্রুপের শিক্ষার্থীরা তাদের আগেই স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।আবার থিসিস করে তারা যে গবেষণাকে তাদের পেশা হিসেবে বেছে নেবে তার জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। গবেষণা শেষ করে তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরির কোনো নিশ্চয়তাও নেই। আর এই কারণেই তারা গবেষণা করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। সবাই একাডেমিক পড়াশেনা শেষ করে চাকরির পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। পিএইডি বা এমফিল করে তারা আর গবেষণা করছে না। চাকরি পেলে চলে যাচ্ছে অন্য কোনো ট্র্যাকে।এ অবস্থার উত্তোরণে আমাদের গোড়ায় যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই। আমরা প্রস্তুত একজন ভালো গবেষকের জন্য। কিন্তু আমরা তাদের পাচ্ছি না।সমকাল: গবেষকদের কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রের কী পদক্ষেপ হতে পারে?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: মেধাবীদের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করতে হবে। আর এজন্য বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে এবং এগুলোর সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন গবেষক যে বিষয়ে কাজ করছেন তাকে সেই বিষয়ক ইনস্টিটিউটে কাজের সুযোগ দিতে হবে। আর এতে করেই একজন গবেষক আরও ভালো করবেন।
সমকাল: বিজ্ঞান গবেষণায় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাহিত্যের ওপরেও কি জোর দেওয়া উচিৎ?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: আমি মনে করি বিজ্ঞান গবেষণায় আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাহিত্যের যোগসূত্র থাকা উচিৎ। কিন্তু আমাদের দেশে মূল সমস্যা হলো আন্তঃসম্পর্কিত বিভাগগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। যেমন-প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মানেই শুধু ইতিহাস নয়, এর সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান আছে, নৃবিজ্ঞান আছে, ভূ-তত্ত্ব আছে। এসমস্ত শাখার গবেষকরা অনেক সময় জানেন না অন্য বিভাগগুলোতে ঠিক কী কী কাজ হচ্ছে। এই আন্তঃসম্পর্কিত বিভাগগুলির একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। এই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এই বিভাগগুলির মধ্যে সমন্বয় করা গেলে একটা ভালো গবেষণা কাজ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করি। আর এই সমন্বয় যত ভালো হবে তত ভালো একটি গবেষণা কাজ বেরিয়ে আসবে।সমকাল: কোনো গবেষণা ছাড়াই দেশে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকৃত গবেষণার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: আমরা বরাবরই বলে আসছি প্রকল্পগুলোতে সংশ্লিষ্ট শাখার গবেষকদের অভাব। সেখানে দেখা যায় অন্য বিভাগের লোকদের রাখা হচ্ছে। কিন্তু আসল লোকদের জায়গা হয় না। সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গাটা দেওয়া হচ্ছে না। আর এর কারণেই আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এই জায়গায় দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো জানেন এমন কে আছেন। সঠিক মানুষকে খুঁজে নিয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের আগে তার পরামর্শ নিতে হবে।
সমকাল: বশেফমুবিপ্রবিকে সাজানোর ক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনা কী?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: প্রথম উপাচার্য হিসেবে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছি। বঙ্গমাতার নামে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হচ্ছে। সেখানকার ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।প্রথম বছরে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে গণিত, প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে সমাজকর্ম বিভাগ চালু হয়েছে। এরইমধ্যে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়েছে।আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্গানোগ্রাম তৈরি করেছি সেখানে নয়টা অনুষদ চাইবো। ক্রমান্বয়ে এসব অনুষদের আওতায় বিভাগগুলো চালু করা হবে।
সমকাল: কারিকুলাম, পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস প্রণয়নে কোন দিকগুলো প্রাধান্য পাবে?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: যুগোপযোগী শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় পরিবেশ বশেফমুবিপ্রবিতে সৃষ্টি করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রিসার্চ সেন্টার থাকবে, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এখানকার ছেলেমেয়েরা যেন দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেভাবেই পরিকল্পনা নিচ্ছি।সমকাল: বশেফমুবিপ্রবিতে বিজ্ঞান গবেষণার জন্য আপনার কোন ধরনের উদ্যোগ থাকবে?ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় কোর্স বেশি। আমরা চেষ্টা করবো অনার্স বা মাস্টার্সে গিয়ে গবেষণা কাজকে বাধ্যতামূলক করতে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে গবেষণা করে স্নাতকোত্তর করে সেটি বাধ্যতামূলক করবো। আমরা এটা রিসার্চ উইং করবো যাতে যে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে চাই তারা যেন তা করতে পারে। সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।ড. সামসুদ্দিন আহমেদ: সমকালকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।সুত্র সমকাল