সপ্তম বারের মতো বিয়ে করলেন নি’শ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া আ’ক্তার ট’পি। এর আগেও তিনি বিয়ে করেছেন ছয়বার এবং প্রত্যেকবারেই মো’টা অ’ঙ্কের মো’হরানা নিয়ে তা’লা’কপ্রা’প্ত হয়েছেন তিনি।রাবেয়া আক্তার নওগাঁ



জে’লার বদলগাছি উপজে’লার উত্তর রামপুর গ্রামের মৃ’ত আব্দুল জব্বারের মে’য়ে ও জয়পুরহাটের ক্ষে’তলাল উপজে’লার নিশ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।গেল রোববার একই উপজে’লার গো’লাহার



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে তার সপ্তম স্বামী হিসেবে বিয়ে করেন। বিয়ে পড়িয়েছেন নওগাঁর কাজী কামাল হোসেন।পাঁচ বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে ট’পি সবার ছোট। বড় ভাই খোরশেদ আলম হান্নান নওগাঁর বদলগাছি



উপজে’লার উত্তররামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং মেজভাই লিটন ধামুইরহাট উপজে’লায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।



পরিবার এবং প্রতি’বেশী সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা রাবেয়া আ’ক্তার টপি দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে কি’শোরী বয়সে তার মে’জ ভাই লিটনের শ্যালক রুবেলকে ভালোবেসে প্রথম বিয়ে করেন। বিয়ের পরে সাফল্যের সঙ্গে এসএসসি পাসও করেন টপি। কলেজে ভর্তির কিছু দিন পরে বেপরোয়া আ’চরণের জন্য রুবেল তার স্ত্রী’ রা’বেয়া আ’ক্তার ট’পিকে তা’লা’ক দেন।



এরপর কলেজে পড়াশোনা অবস্থায় তিনি দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ে করেন। বিয়ে করেন নওগাঁর আত্রাই উ’পজে’লারইমন নামের জনৈ’ক বি’জি’বি সদস্যকে। বিয়ের কিছুদিন পরে বি’জি’বি স’দস্য ইমন স্ত্রী’র চা’রিত্রি’ক স’মস্যা’র কারণে তা’কেতা’লা’ক দিলে ট’পি বি’জি’বির ঊ’র্ধ্বতন কর্মক’র্তার সহায়তায় পুনরায় তাকে বিয়ে করেন এবং তৃতীয় বারের মতো বিয়ের



পিঁ’ড়ি’তে বসেন। এর কিছুদিন পরে ওই বি’জিবি সদস্য তাকে আবারও তা’লা’ক দিলে রাবেয়া আক্তার (আ’দা’লতের মাধ্যমে) ইমনের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা দে’নমো’হর আ’দায় করেন।ইতোমধ্যে রাবেয়া আ’ক্তা’র গ্র্যা’জু’য়েশন শেষ করে সরকারি



প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ জুন তিন লাখ টাকা দে’নমো’হ’রে তিনি চতুর্থ বারের মতো বিয়ে করেন জয়পুরহাট স’দ’র



উ’পজে’’লার পূর্বপারুলিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছে’লে স্বা’স্থ্য সহকারী সোহেল রানাকে। সোহেল রানারও এটিদ্বিতীয় বিয়ে। ভালোই চলছিল সোহেল রানা এবং টপির সংসার। দুজনে এক ছাদের নিচে বসবাস করলেও হ’ঠাৎ করে একদিন ট’পি জানতে পারেন যে সোহেল রানা বিয়ের তিন মাস পরেই তাকে গো’প’নে তা’লা’ক দিয়েছেন।



ঘ’ট’না জা’না’জানি হওয়ায় ১০ লাখ টাকা দে’নমো’হ’রে পুনরায় তাদের বিয়ে হয়। যেটি ট’পি’র পঞ্চ’ম বিয়ে এবং সোহেলের তৃতীয়। কিন্তু বি’ধিবা’ম এবারেও স্বামী কর্তৃক ‘তা’লা’কপ্রা’প্ত হন তিনি। জয়পুরহাট আ’দা’লতে মা’ম’লা করেও এ বিয়ে এবং সংসার র’ক্ষা



করতে পারেনি রাবেয়া আক্তার ট’পি।অবশেষে জয়পুরহাট সদর থা’না’য় বসে থা’না পু’লি’শের স’হায়তায় চার লাখ টাকার বিনিময়ে তা’লা’কনা’মা গ্রহণ করে সোহেল রানার বি’রু’দ্ধে আ’নিতো অ’ভিযো’গ প্র’ত্যা’হার করেন টপি। এরপর তিনি ষ’ষ্ঠ বিয়ে করেন ঢাকায় কর্ম’রত সাগর



নামের একজনকে। নওগাঁর নারী ও শি’শু নি’র্যা’তন দ’ম’ন ট্রা’ইব্যু’নাল-২ এর একটি মা’ম’লায় হাই’কো’র্ট থেকে জা’মি’নেরজন্য ঢাকায় গিয়ে পরিচয় হয় রে’লপ’থ মন্ত্রণালয়ে কর্ম’রত একে এম সা’গরের সঙ্গে। সা’গরের ঢাকার ভা’ড়া বাসায় কয়েকদিন থেকে হা’ই’কো’র্ট থেকে জা’মি’নের কাজ শেষ করে নিজের বাসায় ফিরে আসেন টপি।



সা’গ’রের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানকালে গ’ভী’র স’ম্প’র্কে জ’ড়ি’য়ে পড়েন ট’পি। টপি পূর্বে কখনো বিয়ে করেনি এমন কথাবিশ্বা’স করে সাগর ঢাকার বাসাতেই তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে ট’পি এবং সাগর প্রত্যেক সপ্তাহে ঢাকা-জয়পুরহাট এবং জয়পুরহাট-ঢাকা দুজন দুজনের বাসায় যাতায়াত করতেন।



বিয়ের কিছুদিন পরে রা’বেয়া আ’ক্তার টপির বহু-বি’বাহের ঘ’টনা জানতে পেরে সাগর তাকে তা’লা’ক দেয়। বিয়ের কা’বি’ননা’মায় সাগর তার ভু’য়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করায় রাবেয়া আ”ক্তার তার বি’রু’দ্ধে কোনও প্রকার প’দ’ক্ষেপ নিতে পারেননি।নি’শ্চি’ন্তা



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া আ’ক্তা’র ট’পি বলেন, আমি একাধিক বিয়ে করেছি, আপনাদের স’ম’স্যা কি।আর এ বিষয়ে ফোন করবেন না বলে মো’বা’ইল কে’টে দেন।