গত পরশু মিরপুর # ০১ এর চেইন স্টোর আগোরা থেকে টুকিটাকি কিছু কেনাকা’টার পরে রুপনগর নিজের বাসায় ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত একটা রিক্সা পেয়ে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম সে রুপনগর আবাসিকের নয় নাম্বার রোডে যাবে কিনা, গেলে ভাড়া কত? উল্লেখ্য এই ড্রাইভারের বাড়ি নোয়াখালী বিধায় সে তার নিজস্ব ভাষায় আমাকে বললো “আপনার ‘যা খুশি দিয়েন” কথা না বাড়িয়ে উঠে পরলাম।



তখনও বুঝতে পারিনি পুরু’ষের বেশে তিনি একজন ম’হিলা ড্রাইভার। পথে তাকে জিজ্ঞেস করলাম “তুমি ‘যে বড় রাস্তায় ইঞ্জিন রিক্সা চালাচ্ছো, পু’লিশে ধরবে নাতো” উত্তরে সে যেটা বললো সেটা আর বলতে পারলাম না।



শুধু জিজ্ঞেস করলাম, এত সাহস পাও কোত্থেকে? তোমার বাবা কি দারো’গা আছিল? হেঁসে দিয়ে বললো, আমার বাবা নয়, আমার দাদা দারো’গা আছিল।তার রেখে যাওয়া জায়গা জমি সবটাই চাচারা গ্রাস করেছে।



বা’ধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসেছি। তবে বেঁচে থাকলে ঠিক একদিন আমাদের প্রাপ্যটা বুঝে নেব, নেবই।তার মধ্য যে আত্মবিশ্বাসও মনের দৃঢ়তা খুঁজে পেয়েছি ‘তা অবিশ্বাস্য। কোন বাঙালি মে’য়ের এত সাহস ও দৃঢ়তা এর আগে খুব একটা চোখে পরেনি।তার স্বা’মী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে ছোট ছোট দু’টি ভাইবোন নিয়ে তার সংসার।



জিজ্ঞেস করলাম সারাদিন রিক্সা চা’লিয়ে কখন রাঁধবে আর কখনই বা খাবে? সে বললো গরীব মানুষের আবার খাওয়া, ওরা ‘যা রেঁধে রাখবে তাই দিয়েই খেয়ে নিব।