ঢাকা: রমজান আসতে প্রায় দুই মাস বাকি কিন্তু এখন থেকেই দেশের বাজারের পেঁয়াজের ঝাঁজ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় পাইকারি ২৮ টাকা ও খুচরা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। গেল সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি খুচরা মূল্য ছিল ৩০টাকা। আর তুর্কি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা পাল্লা দরে। আজ দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা পাল্লা দরে। পাশাপাশি আদা ও রসূনে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আদা ৮০-১২০ এবং রসুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এ তথ্য জানা যায়। আজ কাওরান বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আকার ভেদে তা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। মোটামুটি ভাবে বলা যায়, বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে।



বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে নতুন আলু ২০ থেকে ২২ টাকা, গাজর ২০ টাকা কেজি, প্রকার ও মানভেদে শিম ও বেগুন ২০, কাঁচা টমেটো ১৫ টাকা ও পাকা টমেটো ২০, করোল্লা ৪০ টাকা, লাউ ২০-৪০ টাকা, মুলা শালগম ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



অপরদিকে, মশুর ডাল কেজি ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহেও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিহালি ৩৫ টাকায়, চিনি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



দেশী জাতীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। নদী, নালা, খালবিল ও হাওরের মাছ আসছে ঢাকায়। ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকায়। এছাড়া ছোট সাইজের প্রতিজোরা ইলিশ ৬০০-৮০০ টাকা, কই মাস ১৮০ টাকা, বাইঙগ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস বড় ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। এছাড়া রুই মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি বড় ৬০০-১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, বোয়াল ২৫০ টাকা কেজি দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।



পূর্বের ন্যায় গরুর মাংস প্রতিকেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসীর মাংস প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।