মুখে ঘা হওয়াকে খুব বড় সমস্যা মনে করেন না অনেকেই। কিন্তু এই ঘা থেকেই হতে পারে আরো জটিল ধরনের সমস্যা। তবে চিকিৎসকরা বলেন, অল্প ব্যথা ও জ্বালা হলে সচেতন হতে হবে কারণ বেড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সাধারণত এমন হলে প্রাথমিক অবস্থায় কেউ সমস্যা বুঝতে পারে না। খুব ব্যথা-জ্বালা থাকলে তবেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকরা বলেন, মুখে দুই ধরনের ঘা হয়। লাল রঙের ঘা ও সাদা রঙের ঘা। লালচে ঘা হলে খুব বেশি জ্বালা করে। সাদাটে ঘায়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে জ্বালা কম। তবে দুই ধরনের ঘা থেকেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



দাঁত থেকে হতে পারে- অনেকের সময়ে দাঁতে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে মাড়িতে ঘা হয়। বিশেষ করে দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি থাকলে তা থেকে এমন হতে পারে। আবার ভাঙা দাঁতের অংশের সাথে মুখের যে কোনো ভাগে ঘষা লেগে ক্ষত তৈরি হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এমন হতে তা থেকে মুখে আলসার হয়। মুখের মধ্যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ইনফেকশন থেকেও এমন ঘা হতে পারে।



কেটে গেলে- দাঁতের কামড়ে গাল অথবা জিহ্ববা কেটে গেলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো কারো আবার বারবার মুখ কামড় লাগার অভ্যাস থাকে। যা দীর্ঘদিন হতে হতে তা থেকে আলসার হতে থাকে।



গরম খেতে গিয়ে- মুখের ভিতর পুড়ে সেই স্থানে বারবার জিহ্ববা বা দাঁতের কামড় পড়লে তা থেকে ঘা হতে পারে। কাজেই এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।



কিছু অভ্যাস খারাপ- তামাক জাতীয় দ্রব্য খুবই ক্ষতিকর যা মুখের ঘা থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের সমস্যা করে। বিশেষ করে সুপারি মুখের ক্ষত তৈরি করে। সুপারি ও তামাক জাতীয় দ্রব্য মুখের ভিতরের ত্বকের নানা পরিবর্তন করে। দাঁতের পাশে এই সুপারি জমিয়ে রাখলে তা থেকে অ্যালকালয়েড নামক উপাদান নিঃসৃত হয়। যা মুখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নরম চামড়া ক্ষয়ে বা পুড়ে যেতে থাকে। আর এটি ক্যান্সারের একটি কারণও হতে পারে।



আরএম- (স্বাস্থ্য ডেস্ক)



স্বা’মী-স্ত্রীর যে ১০ ভু’লে স’ন্তান হয়না সারাজীবন!বিবাহবয়স বাড়ার সঙ্গে না’রীর স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতা প্রাকৃতিকভাবেই খানিকটা কমে আসে। শুধু তা-ই নয়, জীবনযাপনের আরো কিছু বি’ষয় স’ন্তান ধারণক্ষ’মতাকে কমিয়ে দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন_



১. অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন স’ন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এটি শ’রীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং না’রীর স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে না’রীর জরায়ুর কার্যক্ষ’মতাও হ্রাস পায়। ২০০৯ সালের এক গ’বেষ’ণায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়সের যেসব না’রী ওজনাধিক্যের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁরা জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় আ’ক্রান্ত হন এবং তাঁদের স’ন্তান জন্ম’দানের ক্ষ’মতা কমে যায়।



২. রুগ্ন শ’রীর
অতিরিক্ত ওজন যেমন স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতা হ্রাস করে, তেমনি খুব বেশি পাতলা হওয়াও ক্ষ’তিকর। বেশি চিকন হলে না’রীর দেহে ল্যাপটিন হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়’ন্ত্রণ করে। শ’রীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচ’ক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখু’ন। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখু’ন। এটি না’রীর বন্ধ্যত্ব দূর করতে সাহায্য করে।



৩. বয়স বেশি হওয়া
যখন না’রীর ঋতুচ’ক্র স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সে আর স’ন্তান ধারণ Child capacity করতে পারে না। ঋতুচ’ক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। তবে যদি মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে শ’রীরে ইসট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় বা একদমই নিঃসৃত না হয়, তখন তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪৫ বছরের আগেই পেরিমেনোপজ হতে পারে। তাই অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, ৩৫ বছরের আগে স’ন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে স’ন্তান ধারণক্ষ’মতা কঠিন হয়ে পড়ে।



৪. বংশগত কারণ
যদি আপনার মায়ের মেনোপজ আগে হয়, তবে আপনারও আগে থেকেই মেনোপোজ হওয়ার আ’শঙ্কা থাকে। না’রীরা জন্মায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে এবং এই জিনিসটি বেশি হওয়া বা কম হওয়ার পেছনে জিনগত কারণও কাজ করে। এ রকম অনেক কিছুই নির্ভর করে বংশগত কারণে। গবেষকদের মতে, যদি পরিবারে দেরিতে স’ন্তান ধারণের ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও দেরিতে স’ন্তান হতে পারে।



৬. মা’নসিক চা’প
গ’বেষ’ণায় বলা হয়, যেসব না’রী দীর্ঘদিন ধরে মা’নসিক চা’প বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতা Child capacity অনেক কমে যায়। কারণ, চা’প শ’রীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। তবে চা’পই এর একমাত্র কারণ নয়। গবেষকদের পরামর্শ, যেসব না’রী স’ন্তান নিতে চাইছেন, তাঁদের চা’প নিয়’ন্ত্রণ পদ্ধতি শেখা খুব জরুরি।



৫. ম’দ্যপান
ম’দ্যপানে অভ্যস্ত না’রীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁ’কি থাকে অনেক। ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে ম’দ্যপান করেন—এমন সাত হাজার না’রীর ও’পর গ’বেষ’ণা করে দেখেন, তাঁদের স’ন্তান ধারণক্ষ’মতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, যদি আপনি স’ন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই ম’দ্যপান থেকে বিরত থাকুন।



৬. বেশি ব্যায়াম
ব্যায়াম করা আপনার শ’রীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি দেয়। যখন আপনি স’ন্তান নিতে চাইবেন, এটি খুব জরুরি। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের এ আ’শঙ্কা থাকে।



৭. থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড সমস্যা গ’র্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড হলো এমন একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে নিচের অংশে থাকে। এই থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যা হলেও স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতা কমে যেতে পারে।



৮. ক্যাফেইন
আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খান, এটি আপনার গ’র্ভধারণকে ক্ষ’তিগ্রস্ত করতে পারে। গ’বেষ’ণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই স’ন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের।



৯. যৌ’ন সমস্যা
যৌ’ন বাহিত রো’গের কারণেও স’ন্তান ধারণ ক্ষ’মতা হ্রাস পেতে পারে। যেমন : সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রদাহ ইত্যাদি।



১০. স্বাস্থ্যগত সমস্যা
বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বি’ষয় অনেক সময় না’রীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। এ ছাড়া রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক সময় এর কারণ হয়। তাই এসব সমস্যা হলে আগে থেকে চিকিৎসা করাতে হবে, নয়তো স’ন্তান ধারণ করতে সমস্যা হতে পারে।