দোয়াটি হলো- (উচ্চারণ) : রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুর্রিয়াতিনা কুর্রাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা। অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দাও। (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৭৪)



স’হবা’সের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ আদব-সুন্নাত:
● স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকতে হবে। ● কোন শিশু বা পশুর সামনে সংগমে রত হবে না। ● মুস্তাহাব হলো বিসমিল্লাহ বলে স’হবা’স শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বী’র্যপা’তের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।



● স’হবা’সের পূর্বে সু’গ’ন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের [সা.] সুন্নত।
● দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্লেখ্য যে , ধু’মপা’ন কিংবা অ’পরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দু’র্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।



● পর্দা ঘেরা স্থানে সংগম করবে। ● সং’গ’ম শুরু করার পূর্বে শৃ’ঙ্গা’র (চু’ম্ব’ন, স্ত’ন ম’র্দ’ন ইত্যাদি) করবে। ● কোনোভাবেই কেবলামূখী না হওয়া।
● স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একেবারে উ’ল’ঙ্গ হবে না। ● বী’র্য’পা’তের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রী’র বী’র্য’পা’ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।



● বী’র্যপা’তের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে স’হবা’সে স’ন্তা’ন জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে।
● নিয়ত ঠিক করুন। হযরত আলী (রা.) তার অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, স’হ’বা’সের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে স’হ’বা’স করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জ’ন্ম নেবে নেককার ও ভালো সন্তান। এই নিয়তে স’হ’বা’স করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।