Breaking News

১৮৪ বয়সেও মৃত্যু হয়নি এই বৃদ্ধের, ছেড়ে দিয়েছেন মৃত্যুর আশা

রত্যেক মানুষকেই মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এই কথাটা অমোঘ সত্য। তবে সুন্দর এ ভুবনে কে-ই বা মরতে চায়। কিন্তু অবাক হলেও সত্য, এক বৃদ্ধ ১৮৪ বছর বয়সেও মারা যাননি। তিনি মৃত্যুর আশা ছেড়েও দিয়েছেন!এ বৃদ্ধের নাম মহাশতা মুরাসি। ১৮৩৫ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্ম। তার সন্তানরা, এমনকি নাতি-নাতনিরাও বেঁচে নেই। কিন্তু মৃত্যু এখন পর্যন্ত তাকে গ্রাস করতে পারেনি। বৃদ্ধ বলেন, যম বোধ হয় আমাকে নিতে ভুলে গেছে।

ওই বৃদ্ধ এক সংবাদমাধ্যমকে দুঃখ করে বলেন, আমার চোখের সামনে আমার বহু নাতি-নাতনিদের মরে যেতে দেখেছি। কিন্তু আমাকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু গ্রাস করতে পারেনি।বর্তমানে এই বৃদ্ধ মৃত্যুর আশা ছেড়ে দিয়েছেন! তবে শেষ জীবনে তার ইচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া।
রেকর্ড বলছে, এর আগে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে ফ্রান্সের জিয়ানে লুইস কালমেন্ট নাম লিখিয়েছেন। ১২২ বছর বেঁচে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। ১৮৭৫ সালে জন্ম নেয়া জিয়ানে লুইস কালমেন্ট ১৯৯৭ সালে মারা যান।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাশতা মুরাসির জন্ম ১৮৩৫ সালের ৬ই জানুয়ারি। এই হিসাব অনুযায়ী তার বয়স ১৮৪। তবে তার জন্মের কোনো প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি।এই ব্যক্তি শেষবার ১৯৭১ সালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। তিনিও মারা গেছেন। বৃদ্ধ বয়সে তার শুধু একটাই চাওয়া- বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তির স্বীকৃতি পাওয়া।

আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও যেসব কাজ কখনোই করবেন না। জেনে নিন।

কাজের তাগিদে কিংবা ছুটি কাটাতে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও গেলে থাকার জন্য একমাত্র হোটেলই ভরসা। কমদামি বা বেশি দামি, সব হোটেলেই কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সে সঙ্গে অনেকেই হোটেলে থাকতে গিয়ে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার মাশুল গুনতে হয় বিশাল পরিমাণের। স্মার্টার ট্রাভেল এমন কিছু সচরাচর ভুল নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। হোটেলে অবস্থানের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো যেন কখনোই না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত আমাদের সবার।

১. রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করবেন না : হোটেলটি সুলভ বা বিলাসবহুল যেমনই হোক না কেন, এতে জীবাণুর উপস্থিতির সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব জীবাণুর একটি বড় অংশ থেকে যায় টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে। ঘরদোর যতই ঝেড়ে পরিপাটি করা হোক, রিমোট কিন্তু সেভাবে পরিষ্কার করা হয় না। কাজেই এতে জীবাণু বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। সুতরাং সাবধান!

২. মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না : মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই হোটেলরুমের গোপনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চুরি করতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওই সব ‘গোপন’ জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে কর্তৃপক্ষের লকারে নিজের মূল্যবান জিনিস রেখে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

৩. ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন : দরজা লাগিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্যক্তিগত …. বাদ সাধতে পারে। আবার ঘর পরিষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না।

৪. রুম নম্বর বলবেন না : যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় আপনার হোটেলের রুম নম্বরটি নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃত….কারীরা এসব তথ্যের জন্যই মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারেন গোপন রাখুন, নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জানাতে যাবেন না।

৫. চট করে দরজা খুলবেন না : দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন।’ এই বিশাল ভুলটি কখনোই করতে যাবেন না। হোটেল কিন্তু দিন শেষে কখনোই তেমন নিরাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জেনে তার পরে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ তো আপনার সঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সাবধান। আর সব সময় দরজা লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না।

৬. হোটেলের মিনিবারের পানীয় নয় : কোমল কিংবা কঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে খেতে যাবেন না। কারণ, সাধারণত হোটেলের মিনিবারগুলোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখবেন, আপনার রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিন গুণ!

৭. ছারপোকায় সাবধান : যত বিলাসবহুল কক্ষই হোক আর সুসসজ্জিত বিছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লাশি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখলেই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। কারণ, এই ছারপোকা কেবল আপনাকে কামড়াবে তা-ই শুধু নয়, আপনার সঙ্গে সওয়ার হয়ে আপনার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অবলীলায়।

৮. কলের পানি খাবেন না : এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়াতে এসে ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃতদেহ! কার ভাগ্যে কী থাকে, তা তো আর বলা যায় না। সুতরাং ভুলেও কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখুন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।

Check Also

এই ছোট্ট মেয়ে পেলেন বিশ্বের সেরা সুন্দরী শিশুর শিরোপা, রইল তার আসল পরিচয়

নীল চোখের ছোট্ট পরী সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জন্মানোর পর থেকেই তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *