করোনা ভাই’রাসে আত’ঙ্কিত পুরো বিশ্ব। এর প্রকো’প থামাতে চোখে ঘুম নেই গবেষকদের, নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। এমন অবস্থায় এ ভাই’রাসে আক্রা’ন্ত রোগীদের সেবা দিতে নিজের বিয়েও স্থগিত করে দিলেন এক নারী চিকিৎসক।



এদিকে গত রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভা’রতের কেরালার কুন্নুরে কর্ম’রত চিকিত্সক সাফির। কিন্তু বিয়ে বাদ দিয়ে মনোযোগ দিয়েছেন চিকিৎসা সেবায়। ভা’রতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাফির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গত রবিবার। কিন্তু তিনি সেই বিয়ের দিন পিছিয়ে দিলেন। কারণ তিনি চিকিত্সক। দেশের এই পরি’স্থিতির মধ্যে বিয়ে করার মতো বিলাসিতা তার জীবনে আর নেই।



তার জীবনের যা পেশাগত কর্তব্য, তাই তিনি পালন করলেন। বিয়ের দিনটা পুরোটাই কাটল হাসপাতা’লের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। রবিবার চিকিত্সক হিসেবে রোগী সেবা করেই দিন কা’টালেন তিনি। জানা যায়, সাফির স্বামী দুবাইয়ের ব্যবসায়ী। গত ২৯ মা’র্চ বিয়ের জন্যই তিনিও তৈরি ছিলেন। কিন্তু কনে বলে দিয়েছে, এখন বিয়ে হবে না। আগে দেশের অবস্থা ভালো হোক। আপাতত চিকিত্সক হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।



তবে এই নিয়ে বিশেষ কথা বলতে চান না সাফি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ”দেখু’ন বিয়ে অ’পেক্ষা করতে পারে, অ’সুস্থ হয়ে যারা হাসপাতা’লে ভর্তি, তারা অ’পেক্ষা করতে পারবেন না। তাই আমি আমা’র কর্তব্য পালন করছি মাত্র। এর বাইরে কিছুই নয়। এটা নিযে এতো আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।”



গত রবিবার বিয়ের পোশাকে থাকার কথা ছিল তার কিন্তু সেদিনই তিনি হাসপাতা’লে পরে আছেন পিপিই। সাফি বলেন, ”বন্ধুরা এই নিয়ে ইয়ার্কি মা’রছে। বাড়ির লোকেরাও হাসি ঠাট্টা করছে, কিন্তু সবার মানসিক সম’র্থন ছাড়া আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না। মা বাবা, আমা’র কথায় একবারে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, আমা’র হবু স্বামীও রাজি হয়েছেন একবারেই। আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ।”



করোনা আ’ক্রা’ন্ত নারীর যমজ সন্তান প্রসব, নাম রাখা হলো করোনা ও ভাইরাস



মেক্সিকোর জেনারেল লা ভিলায় সিটি হসপিটালে করোনাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে ভর্তি হন ৩৪ বছর বয়সী আন্নামা’রিয়া জোসে রাফেল গঞ্জালেস। গর্ভবতী থাকাকালীন টেস্টের মাধ্যমে ধ’রা পড়ে নোভেল করোনাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত আন্নামা’রিয়া জোসে। করোনা উপস’র্গ নিয়ে হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন ছিলেন আন্নামা’রিয়া। ২৭ মা’র্চ রাত ২টার সময় যমজ সন্তানের জন্ম দেন আন্নামা’রিয়া।



মেক্সিকো সিটির হাসপাতা’লের চিকিৎসকরা জানান, তার একটি ছে’লে এবং একটি মে’য়ে সন্তান হয়েছে। হাসপাতা’লের চিকিৎসকদের মধ্যে একজন মজার ছলেই আন্নামা’রিয়াকে বলেন তার ভাই’রাস জোসে মিগুয়েল গঞ্জালেজ নামে একটি ছে’লে এবং কারোনা জোসে মিগুয়েল গঞ্জালেস নামের একটি মে’য়ে হয়েছে। নাম দুটো আন্নামা’রিয়ার খুব পছন্দ হয়। তাই তার সন্তানদের নাম তিনি করোনা ও ভাই’রাস রাখারই সিদ্ধান্ত নেন।



মেক্সিকো সিটি হাসপাতা’লের চিকিৎসক এদুয়ার্দো ক্যাস্তিলাস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি নিছক মজার ছলেই নাম দুটো বলেছিলাম। তবে আন্নামা’রিয়া যে সত্যিই তার সন্তানদের নাম করোনা ও ভাই’রাস রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন তা আশা করিনি। আপাতত মা ও তার দুই সন্তানই সুস্থ আছে বলে আনন্দিত গোটা মেক্সিকো সিটি হাসপাতাল।



আন্নামা’রিয়ার ঠিক দুই সপ্তাহ পর যু’ক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতা’লে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বাধ্য হয়ে মেক্সিকো সিটি হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয় তাকে। সন্তানের এমন নাম প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় ভাই’রাল আন্নামা’রিয়া জোসে রাফেল। সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও রীতিমতো আলোচনা শুরু করে দিয়েছে এই সন্তানদের নিয়ে।