Breaking News

গরম চা দিতে পারে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি, জানুন কীভাবে?

নিয়মিত হোক বা অনিয়মিত, প্রতি মাসেই একটি সময়ে সব মেয়েরাই কম বেশি পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রতিমাসে মেয়েদের পিরিয়ডস্ হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা, এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এইসময় ১-২ দিন অনেক মেয়েরই তলপেটে মারাত্মক ব্যাথা হয়, যা মাঝে মাঝে অসহনীয় হয়ে ওঠে।

এর ফলে, কাজ করার ক্ষমতা কমে যায় এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ডের আগে বা পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যাথা খুবই সাধারণ লক্ষণ। বেশিরভাগ মেয়েরাই পিরিয়ডের প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে অসহ্য পেটের ব্যাথায় ভোগে।

তাই, এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যেমন – কিছু খাবার খাওয়া বা কিছু পানীয় পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় ব্যথা কমানোর জন্য। আর, পিরিয়ড চলাকালীন খুব সাধারণ একটি ঘরোয়া প্রতিকার হল গরম চা পান করা এবং এটি আশ্চর্যরকমভাবে খুব ভাল উপকারও দেয়। তাই প্রতি মাসে এইরকম পরিস্থিতিতে পড়লে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দেখে নিন কেন এবং কীভাবে চা পেটের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে, তা ব্যাথা উপশম করতে সহায়তা করতে পারে। ক্যামোমিল, পেপারমিন্ট, গ্রিন টি, আদা চা, তুলসী চা ইত্যাদির মতো ভেষজ চা-গুলি দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায়, যেগুলি প্রদাহ হ্রাস করতে পারে এবং ভাল অনুভব করায়।

পেশী ঠিক রাখতে
পেটের পেশীগুলিতে টান ধরতে পারে, যার কারণে ব্যথা হতে পারে। গরম জলের বোতল, হিটিং প্যাড, ইত্যাদির ব্যবহার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, চা জাতীয় উষ্ণ তরল পান করা, পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।

শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করে
পিরিয়ডের প্রথম দু’দিন অনেকেই নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলে। চা কেবল পেটের টান এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে না, এটি শক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং কাজ করার ক্ষমতা ফেরাতেও সহায়তা করতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ বোল্ড স্কাই

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ঘরেই বানিয়ে নিন ফেসিয়াল সিরাম

প্রাণবন্ত ও জেল্লাদার ত্বক পেতে কে না চায়। ত্বকের যত্নে আমরা কতো কি না ব্যাবহার করে থাকি।মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে।

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই বয়স থমকে যেতে পারে আপনার কাছে! তবে মুখের ত্বকে কোনও কিছু মাখার আগে একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে মুখের ত্বকে কিছু প্রয়োগ করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।

ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর হল ফেসিয়াল সিরাম (facial serum)। ফেসিয়াল সিরাম ত্বকের ত্রুটিগুলি সারিয়ে তুলে মুখকে কোমল, প্রাণবন্ত করে তুলবে।

নিয়মিত মুখে আর গলায় ফেসিয়াল সিরাম সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এর জন্য পার্লালে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ফেসিয়াল সিরাম আর প্রাকৃতিক উপায়ে পেয়ে যান প্রাণবন্ত, জেল্লাদার লুক। এ বার জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে ঘরেই বানিয়ে নেবেন ফেসিয়াল সিরাম…

ফেসিয়াল সিরাম তৈরির উপকরণ:
১. গ্লিসারিন: আধা চামচ,
২. অ্যালোভেরা জেল: ৩ চামচ,
৩. ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ৩টি,

৪. গোলাপ জল: ১ চামচ,
৫. আমন্ড তেল (Almond Oil): ২ চামচ,
৬. নারকেল তেল (রুক্ষ ত্বকের জন্য): ১ চামচ (না-ও দিতে পারেন)।

ফেসিয়াল সিরাম তৈরির পদ্ধতি:

অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন, ১ চা চামচ গোলাপ জল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং ২ চামচ আমন্ড তেল একটি পাত্রে নিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে একটা পরিষ্কার কৌটোয় রেখে দিন। যদি আপনার ত্বক রুক্ষ হয়, তাহলে এই সিরামে বাকি সব উপকরণের সঙ্গে ১ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

এই সিরাম দিনে বা রাতে ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসিয়াল সিরামে কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়নি বলে এটি ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং বাজারে উপলব্ধ যে কোনও সিরামের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্রঃ জি নিউজ ইন্ডিয়া ২৪

Check Also

শি’খে নিন ডাল রান্নার পারফেক্ট কৌশল

ডাল তো আপনারা সবাই বাসায় রান্না করেন। অনেকে আবার প্রতিদিনও বাসায় ডাল রান্না করে থাকেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *